সব
দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গত দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। যার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারছেন না পাসপোর্টযাত্রীরা। বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণসহ নানা কাজে ভারতে যেতে চাওয়া লোকজন।
বাড়তি টাকা খরচ করে বিকল্প পথে ভারতে যেতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু এই পথ দিয়ে যাত্রী নিচ্ছে না ভারত। ভারতে যাওয়া বন্ধ থাকায় যাত্রীপ্রতি ৫০০ টাকা করে যে ভ্রমণ কর পেত সরকার, তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুই বছর ধরে। আগে এই পথ দিয়ে প্রতিদিন ৫০০-৮০০ পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন।
ভারতে চিকিৎসা নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা আতিয়ার রহমান, নার্গিস বেগম, মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন পাসপোর্টযাত্রী জানান, আশপাশের কয়েক উপজেলার মানুষ হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে চিকিৎসাসহ নানা কাজে ভারতে যাতায়াত করেন। কিন্তু করোনার অজুহাতে দীর্ঘদিন ভারতে যেতে পারছেন না তারা। এতে করে রোগ আরও জটিল হচ্ছে।
বিশেষ করে যারা আগে ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ওষুধ কিনতে পারছেন না। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারছি না। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমরা চরম বেকায়দায় পড়েছি। তবে ভারত থেকে যাত্রীরা আসতে পারছেন। আর আমাদের বহুদূর ঘুরে বাড়তি টাকা খরচ করে ভারতে যেতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। তাই ভারতে যাতায়াত চালুর দাবি জানান তারা।
হিলি স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, দীর্ঘদিন ধরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এই কারণে আমরা সমস্যায় পড়েছি। বিভিন্ন সময়ে পণ্য আমদানি করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারছি না। পণ্যের দাম ও মানের বিষয়ে নিজেরা অথবা আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে মান নিশ্চিত করতে হতো। কিন্তু দুই বছর ধরে সেটি করতে পারছি না। যাতায়াত বন্ধের কারণে অনেক খারাপ পণ্য ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রপ্তানি করছেন। সরকারের কাছে অনুরোধ, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত চালু করা হোক।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি বদিউজ্জামান জানান, করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমলে ১৪ মাস পর গত ২০২১ সালের ১৬ মে কার্যক্রম শুরু হয়। এতে যারা বিমান ও অন্যান্য বন্দর দিয়ে ভারতে গেছেন তারা শুধু ভারত থেকে পাসপোর্টযাত্রীরা বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যেতে পারছেন না।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ যাত্রী গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করায় যাতায়াত শুরু হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রী গ্রহণ করলেই যাতায়াত শুরু হবে। তবে তারা এখনও যাত্রী গ্রহণের বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি বলেও জানান তিনি।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি