সব
সুপার বাংলা ডেস্ক: সিলেটে অসামাজিক কাজের অভিযোগে রেলওয়ের জায়গায় বসত গড়ে তোলা হাফিজ আলী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনকে উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার পঁচাত্তর জন সচেতন মানুষ। তবে এ ব্যাপারে এখনো তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। তাছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও আছে। ওই অভিযোগও ঝুলে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার বরাবর দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ভার্তখলার সুরমা তীরের রেলওয়ের জমিতে গড়ে উঠা কুমিল্লা পট্টি এখন নানা অপরাধের আস্তানা। গাঁজা ইয়াবাসহ অন্যান্য নেশার ব্যবসার পাশাপাশি এখানে চলে জুয়ার আসরও। এর সঙ্গে জড়িত ওই পট্টির অধিবাসী হাফিজ আলী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং আত্মীয়স্বজন।
গত ২৩ এপ্রিল সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার কমিশনার বরাবরে এলকার ৭৫ জন সচেতন মানুষের দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, হাফিজ আলীর ভাই কুরবান আলী, খোকন আলী তার ছেলে আকবর আলী, মেয়ে সোনিয়া, তানিয়া, হাফিজা ও স্ত্রী তাদের প্রতিবেশিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা মাদক ব্যবসাসহ আরও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদকারীদের বিভিন্নভাবে হামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনকি গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সকালে দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জসহ তার ফোর্সরাও হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এমনকি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সঙ্গীদের উপরও হামলা ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া গত ১২ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে ভার্থখলা কুমিল্লা পট্টির লিয়াকত মিয়ার ছেলে সপন মিয়া (৩২) দক্ষিণ সুরমা থানায় হাফিজ আলী তার ভাই কুরবান ও খোকন আলী এবং হাফিজ আলীর ছেলে আকবর আলী মেয়ে সুনিয়া বেগম তানিয়া বেগম ও হাফিজা বেগমের বিরুদ্ধে তার ভাড়া বাড়িতে গিয়ে লোহার রডসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে বলে এক অভিযোগ দাখিল করেন। এতে সপন গুরুতর আহত হন। হাফিজ ও তার পরিবারের লোকজন তার বসঘরেও হামলা করে বেড়া কেটে অন্তত ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। তারা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আরও অন্তত ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। তারা সপন মিয়ার মা বোন এবং স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকেও আহত করেছে বলে সপন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
তবে অভিযোগটি থানায় রেকর্ড হয়নি। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি ( ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ) কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, বিষয়টি আপোষে মিমাংসার একটা উদ্যোগ ছিল। সেটি হয়েছে কি না এই মুহুতে বলতে পারছিনা। উচ্ছেদের আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে, তাও জানাতে পারেন নি তিনি।
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলি ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহেল বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযোগ যত বড় করে লেখা হয়েছে, ঘটনা অত বড় না। আমি ছুটিতে ছিলাম। এখন খোঁজ নিয়ে দেখবো। যদি আপোষে শেষ না হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে নিজেদের উপর এমনসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাফিজ আলীর ভাই খোকন আলী। তিনি উল্টো অভিযোগ তুলেন, সপন তার গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। এ নিয়েই তাদের সাথে বিরোধ। এ ব্যাপারে তিনি আদালতে মামলাও করেছেন।
তবে এলাকার অধিবাসী এবং হাফিজ আলী ও তার গোত্রকে রেলওয়ের জমি থেকে উচ্ছেদের আবেদনে স্বাক্ষরকারী আব্দুস সালাম সাহেদ ও ইমন খাঁন বলেন, এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এদের কারণে।
অসামাজিকতার আখড়া বানিয়ে ফেলেছে হাফিজ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাই তারা তাদের উচ্ছেদের মাধ্যমে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে।
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি